পরিবারের অনুমতি পেলে হবু স্বামীর পরিচয় জানাবে সানাই

পরিবারের অনুমতি পেলে হবু স্বামীর পরিচয় জানাবে সানাই

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত এবং সমালোচিত একটি নাম সানাই মাহবুব সুপ্রভা। বিভিন্ন কারণে তিনি আলোচিত হচ্ছেন।

সর্বশেষ তিনি আলোচনায় এসেছেন বিয়ের সিদ্ধান্তের কারণে। ২ বছর প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সানাই। তবে তিনি এখনও প্রকাশ করেননি হবু স্বামীর নাম। শনিবার সকালে তার বাগদান হয়েছে।

বাগদানের পর তিনি জানান, তার হবু স্বামী আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। তিনি গেল মেয়াদে সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তার পরিবারের আয়োজনেই এই বিয়েতে মত দিয়েছেন তিনি। তার হবু স্বামী একজন ডিভোর্সি। তার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য ২২ বছর।

বিয়ের সেই খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সবাই রীতিমত গোয়েন্দার ভূমিকায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন রহস্য উদঘাটন করতে। কে সেই সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান এমপি?

অনেকেই অনেক নাম তুলে আনছেন।হিসেব মিলিয়ে দেখছেন সানাইয়ের সঙ্গে ২২ বছরের ব্যবধান হতে পারে এমন সাবেক মন্ত্রীটি কে? কেউ আবার খুঁজছেন ডিভোর্সি সাবেক মন্ত্রী। যিনি বর্তমানে কোনো মন্ত্রণালয় পাননি।

এরপরই বিরক্ত হয়ে সানাই নিজের ফেসবুকে পেজে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে লিখেন ‘এটা কেমন কথা এটা??? ছিঃ

হ্যা, হতে পারে সে আমার চেয়ে ২২ বছরে বড়.. এবং তার বাচ্চা আছে… সে ডিভোর্স প্রাপ্ত একজন মানুষ।

তো এই ব্যাপারটাকে এরকম ফলাও করার কি আছে???

সব কিছুর উপরে সে একজন মানুষ। যে শুধু আমাকে পাগলের মত ভালোবাসে… আমাকে গত ২ টা বছর বট গাছের মত ছায়া দিয়ে রাখছে… আমাকে আগলায় রাখছে… তাকে ঘিরে এসব নিউজ করা বন্ধ করেন প্লিজ…

আমি তাকে ভালোবেসেই বাগদানে রাজি হয়েছি…

আপনারা এসব নিউজ করা বন্ধ করেন।’

এদিকে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে সানাইয়ের একটি ছবি। যেখানে তার সঙ্গে দেখা গেছে জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা। সানাইয়ের দেয়া তথ্যমতে রাঙ্গা সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান এমপি। বয়সের ব্যবধান ২২ বছরের বেশি হলেও অনেকেই ইশরায় রাঙ্গাকেই সানাইয়ের হবু বর বলে দাবি করছেন।

তবে এই ছবিটি নিয়ে ভীষণ বিরক্ত ও বিব্রত সানাই। তিনি বললেন, ‘সাংবাদিকরা আমার বরের সম্পর্কে কিছু জানাতে অনুরোধ করেছেন তাই আমি কিছু তথ্য দিয়েছি। কিন্তু এরপর দেশের মানুষ সাবেক মন্ত্রী হিসেবে যাকে পাচ্ছে তাকেই আমার স্বামী হিসেবে দাবি করছে। এটা খুবই বিরক্তির এবং অন্যায়।

রাঙ্গা ভাই একজন বরেণ্য প্রবীন রাজনীতিবিদ। তার সঙ্গে আমার তেমন পরিচয় নেই। একটি শো রুমের উদ্ধোধনকালে প্রথম ও শেষ দেখা হয়। তিনি মুরুব্বী মানুষ। তার সঙ্গে আমার ছবিটি নিয়ে বাজেবাজে কথা বলা হচ্ছে। একজন সম্মানিত মানুষকে বিব্রত করা হচ্ছে। আমি ও আমার পরিবারও বিব্রত। সবাইকে অনুরোধ করবো, এমনটা করবেন না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পারিবারিক অনুমতি পেলেই আমি বরের নাম ও পরিচয় সব বলবো।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment